মোঃ আলমগীর হোসেন, (খাগড়াছড়ি) খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যর জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
শনিবার(২৬ মার্চ) সকালে উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়নের যতন কুমার কার্বারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেদিতে জুতা পায়ে ওঠেন তবলছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম।
ফুল দেওয়ার সময় জুতা পায়ে তিনি নিজ ফোনে ছবি তোলেন। প্রায় ১০ মিনিট এভাবে শহীদ মিনারের পবিত্রতা নষ্ট করা হয়। একই সময়ে সেখানে তোলা বিভিন্ন ব্যাক্তি ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দিলে ভাইরাল হয় ও সমালোচনার ঝর উঠে।
ছবিতে তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া, তবলছড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন সহ অন্যান্যদের খালি পায়ে দেখা গেলেও জুতা পায়ে দেখা যায় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথমে একবার দলীয় ভাবে শহীদ মিনারে ফুল দেই পরে চেয়ারম্যানের সাথে ছবি তোলার জন্য আবার উঠেছিলাম। পরের ছবিটি ফেইসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকায় আমার পায়ে জুতার কথা খেয়াল ছিলনা।
তবলছড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন বলেন, ২৬শে মার্চ শহীদদের স্বরণে ফুল দেওয়ার সময় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জুতা নিয়ে শহীদ মিনারে উঠে আমার পাশেই দাড়িয়েছিলেন। আসলে আমরা কেউ খেয়াল করিনি। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে দেখতে পাই। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তিনি এমন ভুল করার কথা না।কারণ এই সময়ে সকলে সচেতন। রাষ্ট্রের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে বলেন, যিনি ভুল করেছেন তিনি জবাবদিহি করবেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃলা দেব বলেন, এ ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। যেহেতু এটি ব্যাক্তিগত ভুল বিষয়টির দায়ভার সম্পূর্ণ ওই ইউপি সদস্যর। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে উর্ধতন কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।